ক্লাস্টার সম্পর্কে
দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ এবং সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ক্লাস্টার ভিত্তিক উন্নয়ন বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় ধারণা। ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী বিশ্ব বরেণ্য অর্থনীতিবিদ আলফ্রেড মার্শাল, ১৮৯০ সালে প্রকাশিত গ্রন্থ ‘প্রিন্সিপলস্ অব ইকোনমিক্স’ এ সর্বপ্রথম শিল্প ক্লাস্টার সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন যার নাম দিয়েছিলেন বিশেষ শিল্প জেলা। উক্ত বইয়ে তিনি একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় সমজাতীয় পণ্য উৎপাদনকারী বা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সমষ্টিকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করেন। ক্লাস্টারে অন্তর্ভূক্ত শিল্প বা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের পণ্য/সেবা, কাঁচামাল, শক্তি, দুর্বলতা, সুযোগ, হুমকি একই ধরনের হয়ে থাকে। চীন, জাপান, আমেরিকা, ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর বিভিন্ন উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে ক্লাস্টার ভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প।
কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে দেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ২০০৭ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়রে অধীনে এসএমই ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এসএমই ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের জন্য পলিসি অ্যাডভোকেসি, উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উন্নয়নের মূল স্রোত-ধারায় নারী উদ্যোক্তাদের অন্তর্ভুক্তি, আইসিটির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, গবেষণা ও প্রকাশনাসহ নানাবিধ কর্মসূচী গ্রহণ করে যাচ্ছে।
জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ (অনুচ্ছেদ-৩.৬) এ অন্তর্ভূক্ত শিল্প ক্লাস্টারের সংজ্ঞাটি নিম্নরূপঃ
“৫ (পাঁচ) কিলোমিটার ব্যাসার্ধের ভৌগোলিক এলাকায় অবস্থিত ৫০টি বা ততোধিক উৎপাদন বা সেবা খাতভুক্ত কুটির/মাইক্রো/ক্ষুদ্র/মাঝারি/বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান যদি একই বা সমজাতীয় পণ্য বা সেবা উৎপাদন করে বা ব্যাকওয়ার্ড ফরওয়ার্ড লিঙ্কেজ তৈরির মাধ্যমে সমজাতীয় পণ্য উৎপাদনে সহায়তা করে তবে ঐ এলাকাটিকে ক্লাস্টার হিসেবে গণ্য করা হবে”
২০১১ সালে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এবং অংশীজনদের মতামতের আলোকে শিল্প ক্লাস্টারের সংজ্ঞা প্রণয়ন করে ক্লাস্টার ম্যাপিং স্টাডি পরিচালনা করা হয় এবং ২০১৩ সালে ‘SME Clusters in Bangladesh’ শিরোনামে একটি বই প্রকাশিত হয়। উক্ত স্টাডিতে দেশব্যাপী ১৭৭টি ক্লাস্টার (বুস্টার সেক্টরে ১২৯ টি ও নন-বুস্টার সেক্টরে ৪৮টি) চিহ্নিত করা হয় যেখানে সংশ্লষ্টি মোট কর্মী ও শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২০ লক্ষ এবং তন্মধ্যে পুরুষ ও নারী কর্মী যথাক্রমে ৭৪% ও ২৬%। ১৭৭ টি ক্লাস্টারের মোট ৭০ হাজার প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক টার্নওভার প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা। চিহ্নিত ক্লাস্টারগুলোর মধ্যে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, হ্যান্ডলুম, নকশিকাঁথা, ক্ষুদ্র গার্মেন্টস, আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারি, হ্যান্ডিক্রাফটস, চামড়াজাত পণ্য ক্লাস্টার উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে র্সবপ্রথম ২০২২ সালে এসএমই ফাউন্ডশেন কর্তৃক প্রকাশতি হয় ‘এসএমই ক্লাস্টার ডিরেক্টরি’। ক্লাস্টারের পণ্য বিক্রয়, প্রর্দশন ও ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মিলনের মাধ্যম হিসেবে এসএমই ফাউন্ডশেন র্কতৃক ভার্কুতা আর্টিফিশিয়াল জুয়লোরি শিল্প ক্লাস্টাররে জন্য ওয়বেসাইট তৈরি করা হয়েছে এবং ভবষ্যিতে অন্যান্য ক্লাস্টারগুলোর জন্যও র্পযায়ক্রমে ওয়বেসাইট তৈরির র্দীঘময়োদী পরকিল্পনা ফাউন্ডশেনের রয়েছে। এসএমই ফাউন্ডেশন ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ৯০টি ক্লাস্টার পরিদর্শনপূর্বক উন্নয়ন চাহিদা নিরূপণ করেছে। বর্তমানে ফাউন্ডেশন প্রায় ৩৫টি ক্লাস্টারে নানাবিধ উন্নয়ন কর্মসূচী পরিচালনা করে যাচ্ছে। ক্লাস্টারের উদ্যোক্তা এবং কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে গৃহীত এসএমই ফাউন্ডেশেনের বিভিন্ন র্কাযক্রমের আওতায় এপর্যন্ত প্রায় ৪৬০০ জন উদ্যোক্তা পণ্য বহুমুখীকরণ, ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, বিপণন কৌশল, একাউন্টিং, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, অনলাইন মার্কেটিং, ভ্যাট-ট্যাক্স, ব্যবসায়িক নিরাপত্তাসহ নানাবিধ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সার্বিকভাবে ব্যবসার উন্নতি সাধন করতে পেরেছে।
উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্লাস্টারে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের সুবিধার্থে ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন মেলা ও ম্যাচমেকিং কর্মসূচীতে ক্লাস্টারের পণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনের সুযোগ প্রদান করা হয়। সমজাতীয় পণ্য উৎপাদনকারী ক্লাস্টারসমূহের মধ্যে এক্সপোজার ভিজিটের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা পণ্যের বাজার, কাঁচামালের উৎস, উৎপাদন পদ্ধতি, বাজারজাতকরণ পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার এবং নতুন ক্রেতা ও বাজারের সাথে সংযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাগণ পণ্য ও ব্যবসায়ের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। ক্রেডিট হোলসেলিং কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন ক্লাস্টারের প্রায় ২১৩২ জন উদ্যোক্তার মধ্যে (নারী: ৫২৪ জন, পুরুষ: ১৬০৮ জন) ঋণ বিতরণ করা হয়েছে এবং কোভিড-১৯ মোকাবেলা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় প্রায় ৬০০ জন উদ্যোক্তাকে ঋণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ব্যাংকিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও ব্যাংক এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ কর্মসূচীর মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এসএমই ক্লাস্টার উন্নয়ন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের “প্রেক্ষিত পরিকল্পনা” এবং “ভিশন ২০৪১” এর লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্লাস্টার উন্নয়ন উদ্যোগ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় সীমাবদ্ধ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত নয়, বরং, এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব দূরীকরণ, এবং সর্বোপরি, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নতদেশে রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভিশন ২০৪১
স্মার্ট নাগরিক
প্রতিটি নাগরিককে ইতিবাচক পরিবর্তন করতে এবং জাতি গঠনে অবদান রাখার ক্ষমতা দেওয়া হয়। তারা আর “ক্ষমতায়” থাকা লোকদের কাছ থেকে সমাধান খুঁজবে না, সেটা সরকারী বা বেসরকারী সেক্টরেই হোক। পরিবর্তে, তারাই প্রথম সমাধান।
স্মার্ট সরকার
স্মার্ট সরকার বলতে গভর্নরকে বোঝায়। একজন সরকারি কর্মকর্তা থাকাকালীন, একজনের উদ্যোক্তা স্থান এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার স্বাধীনতা রয়েছে এবং পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বের সুবিধাদাতা হচ্ছে যা নাগরিকদের জন্য কেবল সমাধানই নয়, শেষ পর্যন্ত সরকারের উপর আস্থা রাখে।
স্মার্ট ইকোনমি
যদি একটি স্মার্ট সোসাইটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ হয় যা কাউকে পিছনে ফেলে না, তাহলে একটি স্মার্ট অর্থনীতি ব্যবসার ক্ষেত্রেও একই কাজ করে। ছোট ব্যবসায়ীরা এখন বড় শহরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না। একটি ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা নাগালের মধ্যে রয়েছে।
স্মার্ট সোসাইটি
ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিল নাগরিককেন্দ্রিক হওয়া। স্মার্ট বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাচ্ছে—সরকার সম্পূর্ণভাবে জনগণের পক্ষে, জনগণের পক্ষে। সমস্ত নাগরিক সমাজের সক্রিয় সদস্য, ঠিক আপনার এবং আমার মতো। একজন যিনি দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা করেন এবং আপনি এবং আমি যা করতে পারি তা করতে সক্ষম। এই পরিবর্তনটি হবে যাকে আমরা আল্টিমেট ডিমান্ড সাইড রেসপন্স বলি।
অধ্যাপক মোঃ মাসুদুর রহমান
চেয়ারপার্সন, এসএমই ফাউন্ডেশন
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মধ্য দিয়ে দেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ক্ষুদ্র্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) প্রতিষ্ঠা করেছে।
ফাউন্ডেশন এসএমই-বান্ধব ব্যবসায় পরিবেশ সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা ও পলিসি অ্যাডভোকেসি, প্রযুক্তি উন্নয়ন, আইসিটি, প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ ও তাঁদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন পৃথক কর্মসূচি পরিচালনা করে যাচ্ছে। এসএমই নীতিমালা-২০১৯, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮, জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নীতিমালা ও কৌশলপত্রে ক্লাস্টারভিত্তিক এসএমই উন্নয়ন কার্যক্রমকে শিল্পোন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জাতীয় অর্থনীতিতে এমএসএমই ক্লাস্টারসমূহের গুরুত্ব বিবেচনা করে এসএমই ফাউন্ডেশন ২০১১ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ক্লাস্টারভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশে ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্পোন্নয়ন কার্যক্রম একটি জনপ্রিয় ধারণা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ২০১৩ সালে এসএমই ফাউন্ডেশন সারাদেশে ১৭৭টি এসএমই ক্লাস্টার চিহ্নিত করেছে এবং ম্যাপ আকারে অবস্থান লিপিবদ্ধ করেছে। ক্লাস্টার উন্নয়ন চাহিদা নিরূপণ কার্যক্রমের আওতায় এযাবত মোট ৯০টি এমএসএমই ক্লাস্টারের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ক্লাস্টারের চাহিদা নিরূপণ চলমান রয়েছে। একই সাথে বিভিন্ন ক্লাস্টারের চাহিদার ভিত্তিতে ক্লাস্টারভিত্তিক উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, স্বল্প সুদে অর্থায়ন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সংযোগ তৈরি, বাজার সম্প্রসারণ, প্রযুক্তি হস্তান্তরকরণ ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
ক্লাস্টার উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এসএমই ফাউন্ডেশন ভাকুর্তা আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারি শিল্প ক্লাস্টারে উৎপাদতি পণ্য প্রর্দশন ও ক্রেতা-বিক্রেতা সংযোগ সাধনরে লক্ষ্যে ওয়বেসাইট তৈরি সম্পন্ন করেছে। আমি বিশ্বাস করি এর মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের পরিচিতির পাশাপাশি তাদরে উৎপাদতি পণ্য, কাঁচামাল, পণ্যরে বাজার ও ব্যবসার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আমি ভাকুর্তা আর্টিফিশিয়াল জুয়লোরি শিল্প ক্লাস্টাররে ওয়বেসাইট তৈরির সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং উদ্যোক্তাদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
অধ্যাপক মোঃ মাসুদুর রহমান, পিএইচডি
ড. মোঃ মফিজুর রহমান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এসএমই ফাউন্ডেশন
শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) গুরুত্ব অপরিসীম। এ কারণে বাংলাদেশ সরকারের রূপকল্প ২০৪১, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০-২০২৫), জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২, এসএমই পলিসি-২০১৯ এবং অন্যান্য কৌশলপত্রে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রধানতম হাতিয়ার হিসেবে এসএমইকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০০৭ সালে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (সংক্ষেপে এসএমই ফাউন্ডেশন) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এসএমই ফাউন্ডেশন দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে পলিসি অ্যাডভোকেসি, রিসার্চ, ক্লাস্টার, বিজনেস সাপোর্ট সার্ভিস, ট্রেনিং, আইসিটি ও টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন, ফাইন্যান্স এন্ড ক্রেডিট সার্ভিসেস ইত্যাদি অনুবিভাগের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের জন্য ফাউন্ডেশনের বহুমুখী প্রয়াসের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের এসএমই ক্লাস্টার ম্যাপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, যার মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা মোট ১৭৭টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্লাস্টার চিহ্নিত করা হয়েছে।
করোনা মহামারি (কোভিড ১৯) পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক পুনরূদ্ধার ত্বরান্বিতকরণ এবং পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ঋণদান কর্মসূচি সম্প্রসারণের নিমিত্ত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে দুই ধাপে মোট ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা ছাড় করা হয় যা থেকে ক্লাস্টারের উদ্যোক্তারাও ঋণ পেয়েছেন। অর্থ বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক প্রত্যাবর্তনকৃত অর্থ দ্বারা এসএমই ফাউন্ডেশনে একটি ‘রিভলভিং ফান্ড’ গঠন করা হয়েছে। রিভলভিং ফান্ড হতে এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ বিতরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।.
দেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত সর্বাধিক গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করলেও প্রচার ও প্রসারের অভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎপাদতি পণ্য বাজারজাতকরণে সমূহ বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এসএমই ফাউন্ডশেন ভার্কুতা র্আটফিশিয়িাল জুয়লোরি ক্লাস্টাররে জন্য একটি ওয়বেসাইট তৈরি করে দিয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এই ওয়বেসাইটটি মূলত ভার্কুতার উদ্যোক্তা ও ক্রেতা গোষ্ঠীর মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক ও টেকসই যোগাযোগরে মাধ্যম হিসেবে প্রতষ্ঠিতি হব। এসএমই উন্নয়নে ব্যবসাবান্ধব অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে র্পযায়ক্রমে আমরা অন্যান্য ক্লাস্টাররে জন্যও ওয়বেসাইট তৈরির দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
ড. মোঃ মফিজুর রহমান
ক্লাস্টার উইং টিম
Get Best Offers On Customized Designs!
Best Quality Printed T-Shirts & Mugs At Affordable Price!
- Personal Gifts
- Occasional Gifts
- Corporate Gifts
- Couple Tshirt
- Wedding Package
- Corporate Gifts
Click edit button to change this text. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.
Click edit button to change this text. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.
Click edit button to change this text. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.
All Over Shipping
It elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.
Best Quality
It elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.
Best Offers
It elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.
Secure Payments
It elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.